বুধবার সকাল থেকেই গোটা দেশের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। কারণ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৪৪ টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। পরে আরও কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। সব মিলিয়ে এখন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ১৬০ টি পিটিশন জমা পড়েছে।
আজ, বুধবার সেই পিটিশনগুলির ওপরে শুনানি হয় দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে। পিটিশনারদের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান, যতদিন না সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ না হয়, ততদিন যেন সিএএ কার্যকর না করা হয়। তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে এখনই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠিয়ে এ ব্যাপারে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। তার পরে শুনানি শুরু হবে।
গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, এই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই আইন কতটা বৈধ, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল ২২ জানুয়ারি। সেই মতো আজ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাগুলির শুনানি করে। সিব্বল আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, আপাতত সিএএ-র বাস্তবায়ন এবং এনপিআর নিয়ে গতিবিধি স্থগিত রাখা হোক। সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলে, কেন্দ্রের জবাব না শুনে নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।
তবে সিব্বলরা এই বিষয়কে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর যে আর্জি জানিয়েছিলেন, তা মেনে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, চার সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব পাওয়ার পর পঞ্চম সপ্তাহে এই মামলার শিডিউল তৈরির জন্য বৈঠকে বসবে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। সিএএ-এনপিআরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, তা বিচারের জন্য ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এ ব্যাপারে কোনও হাইকোর্টও যাতে নতুন কোনও মামলা গ্রহণ না করে, সেই নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।