গত অক্টোবরেই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর হিসেব বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু গতকাল সোমবারই প্রকাশিত হয়েছে আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক। যেখানে ভারতের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ১৩০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের বাজারের যা অবস্থা তাতে টেনেটুনে ৪.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হতে পারে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা জিডিপির।
অন্যদিকে, মুখ খুলে আইএমএফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধান অর্থনীতিক গীতা গোপীনাথও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতীয় অর্থনীতির মন্দার ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনাও ধাক্কা খাবে। এই প্রেক্ষিতে এবার মোদী সরকারকে একহাত নিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। পাশাপাশি, তাঁর কটাক্ষ, প্রস্তুত হও। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) এবং সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথের ওপর আক্রমণ শুরু হল বলে।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশে সাধরাণ বাজেট। তার আগে আইএমএফ-এর জিডিপির পূর্বাভাস যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদী সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের অস্বস্তি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়ে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা জানান, আইএমএফ-এর এই তথ্যে তিনি একেবারেই হতাশ নন, বরং এটা যথেষ্ট প্রত্যাশিত। একের পর এক টুইট করে চিদম্বরম বলেন, চলতি অর্থবর্ষে আইএমএফ-এর পাঁচের নীচে জিডিপির পূর্বাভাস বাস্তবসম্মত। এর থেকে নীচে নামলেও অবাক হব না। তবে, আইএমএফ এবং গোপীনাথকে নিশানা করে আক্রমণ করতে পারে বিজেপি নেতারা, এই আশঙ্কা করছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে গীতা গোপীনাথ স্পষ্ট করেছেন যে, বিশ্বের অর্থনৈতিক গতির হ্রাসে ভারত ৮০ শতাংশ প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে চিদম্বরম বলেন, ‘ইনিই প্রথম নোটবন্দী নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। এখন ভারতের অর্থনীতি নিয়ে এমন তথ্য দিচ্ছেন। আমাদের তৈরি থাকতে হবে, কারণ মনে হয় এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে আক্রমণ করা হবে।’ এর আগে আইএমএফ ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬.১ শতাংশ। কিন্তু এক ধাক্কায় তিন মাসে ১.৩ শতাংশ কমিয়ে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় বিরোধীদের অনেকটাই অক্সিজেন জোগালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।