বিরোধী কণ্ঠস্বরকে অনেক সময়ই ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে কটাক্ষ করা হয়ে থাকে বিজেপির তরফে। তাদের উদ্দেশ্যে নানারকম কুরুচির মন্তব্যও করা হয়ে থাকে। এবার আচমকাই ভোল বদল করলেন বিজেপি নেতারা। খোদ অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, টুকরে টুকরে গ্যাং সম্পর্কে তথ্য তাদের কাছে নেই। অর্থাৎ বিজেপি নেতারা টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা বললেও আসলে সেটার কোনও অস্তিত্ব নেই।
টুকরে টুকরে গ্যাং নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি’র শীর্ষ নেতাদের। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতা। এই গ্যাং দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে দাবি তাঁদের। এবার এই টুকরে টুকরে গ্যাং সম্পর্কে জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আরটিআই করেছিলেন সাকেত গোখেল। তখনই আচমকা ভোল বদল করে বিজেপির তরফে জানানো হল যে টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কোনও অস্তিত্ব নেই। উত্তর দেখে কংগ্রেসের প্রশ্ন, তা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর দল এ যাবৎ কি ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন!
জানা গিয়েছে, ভারতীয় রাজনীতিতে টুকরে টুকরে গ্যাং শব্দবন্ধের আমদানি করেছে বিজেপিই। তাদের দাবি, জেএনইউ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আখড়া। এখানে বসেই ভারতকে টুকরো টুকরো করার চক্রান্ত হয়। বিজেপি বিরোধীদের টুকরে টুকরে গ্যাং বলে তোপ দেগে আসছেন অমিত শাহ–নরেন্দ্র মোদীরা। এই পরিস্থিতিতে আরটিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সরকারের অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, জেএনইউ কাণ্ড থেকে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে টুকরে টুকরে গ্যাং ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল গৈরিক শিবিরের পক্ষ থেকে। যদিও তার কোনও হাতে গরম প্রমাণ দিতে পারেনি কেউ। বিষয়টি সম্পূর্ণ মৌখিক ছিল। যার ভিত্তিতেই এই তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করা হয়েছে। এখানেও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রক। এই অবস্থায় আরটিআইয়ের রিপোর্টে যে আরও কোণঠাসা হল বিজেপি তা বলাই বাহুল্য।