বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল দলের অন্দরে। বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন অনেকেই। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজ্য বিজেপির বিতর্কিত মুখ দিলীপ ঘোষকেই গতকাল দ্বিতীয়বারের জন্য সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আর দিলীপের সেকেন্ড ইনিংস শুরুর দিনেই তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ‘বিজেপির কে রাজ্য সভাপতি হলেন তাতে মানুষের কিছু যায় আসে না’, তোপ দাগলেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন চন্দ্রিমা।
সিএএ-র বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সেই একই ইস্যুতে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পথে নামে ঘাসফুল শিবির। বনগাঁ কালিবাড়ি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে গোটা শহর পরিক্রমা করে৷ তাতে নেতৃত্ব দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ, বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য-সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এদিনের মিছিল শেষে বনগাঁ স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে জনসভারও আয়োজন করা হয়। সেই মঞ্চ থেকেই দিলীপ ঘোষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি আরও বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের গরম গরম বক্তব্য ও চোখরাঙানো ওদের নেতাদের বোধহয় ভাল লেগেছে। কারণ ওটাই ওদের কালচার। তাই তিনি আবার সভাপতি হয়েছেন।’
ওই সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকেও চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রশ্ন করার ভঙ্গিমায় তিনি বলেন, ‘সিএএ-র জন্য শেষ দিন ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হল কেন? ওই দিন কি মোদীর জন্মদিন নাকি অমিত শাহের বিবাহবার্ষিকী?’ তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিজেপি মানুষের যা ক্ষতি করার তা করে দিয়েছে। নাগরিক অধিকার কেন্দ্রীয় সরকার হরণ করতে চাইছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাদের সবার জন্য সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রথম পথে নেমেছিলেন৷ তিনি শেষ অবধি লড়ে যাবেন।’