ক্রমশই বেহাল হয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। ধস নেমেছে একের পর এক শিল্পে। যার ফলে একদিকে যেমন আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। তেমনি গোটা দেশজুড়েই বিরাজ করছে বেকারত্ব। পাল্লা দিয়ে গত কয়েক মাসে টানা বেড়ে চলেছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ফের সতর্ক করলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। বললেন, বেকারত্বের হার বাড়লে এবং রোজগার কমলে তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ বাড়তেই থাকবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার সমীক্ষা রিপোর্টে কাজের ছবি সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ইপিএফে নাম লেখানো কমতে পারে। কয়েকটি রাজ্যে কমেছে বাইরে থেকে পাঠানো টাকার অঙ্ক। এই দুই পরিসংখ্যানই আদতে কর্মসংস্থানের উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরছে। এ নিয়েই মঙ্গলবার চিদম্বরম টুইটারে লিখেছেন, ‘বেকারত্ব বাড়লে এবং আয় কমলে যুব ও ছাত্রদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতে পারে।’
এরই মধ্যে ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.৩৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। কমছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সম্ভাবনা। প্রশ্ন উঠছে, মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় সুদ কমাতে না-পারলে বিনিয়োগ আসবে কীভাবে? আর বিনিয়োগ না এলে কর্মসংস্থান এবং কেনাকাটা বাড়বে কী করে? সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হারকে উঁচুতে তোলাও তো মুশকিল হবে! চিদম্বরমের বক্তব্য, ‘অযোগ্যতার বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে তা ফের ৭.৩৫ শতাংশ ছুঁয়েছে।’
উল্লেখ্য, চিদম্বরমের সতর্কবার্তা নতুন করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের পরামর্শের কথাই মনে করাচ্ছে। সম্প্রতি রাজন বলেছেন, দেশের এই বৃদ্ধির হার কর্মসংস্থান তৈরির পক্ষে যথেষ্ট নয়। এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে হলে মোদী সরকারকে এই মুহূর্তেই কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।