সোশ্যাল মিডিয়া আগেই চিহ্নিত করেছিল। মুখে কালো স্কার্ফ বাঁধা, চেক শার্ট ও জিন্স পরা এক তরুণীর হাতে লাঠি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোশধারী বাহিনীর হামলায় এ বার সেই তরুণীকে শনাক্ত করল দিল্লি পুলিশ। তিনি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে যদিও তাঁর নাম-ঠিকানা এখনও জানায়নি জেএনইউ কাণ্ডের তদন্তকারী দিল্লী পুলিশের বিশেষ দল। নাম-পরিচয় জানার পরেও কেন তা প্রকাশ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, ওই তরুণী এবিভিপির সদস্য বলেই কি পুলিশ তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখতে চাইছে?
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থেই নাকি তার নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। চিহ্নিত করা গিয়েছে আরও ৮ আক্রমণকরীদের। ওই তরুণী আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সদস্যা সে। নোটিস পাঠিয়ে তাকে তলব করা হবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লী পুলিশের এক উচ্চ পদাধিকারী জানিয়েছেন, ‘ওই ভিডিয়ো দেখে তরুণীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আইনি নোটিস পাঠানো হবে।’
কিন্তু কেন চিহ্নিত করার পরেও তাঁর নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করল না দিল্লী পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ এই বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান তথা ডেপুটি কমিশনার (ক্রাইম) শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেএনইউ কাণ্ডে জড়িতদের নাম, ছবি ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন। মুখোশধারী বাহিনীর হামলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিন ধরে চলা আট অভিযুক্তদের তালিকায় ছ’জনই ছিলেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সদস্যা। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের এই তদন্ত নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ৫ জানুয়ারি মুখোশধারী এক দল যুবক-যুবতী জেএনইউতে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সবরমতি হস্টেলে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি পড়ুয়া-অধ্যাপকদের মারধর করে ওই দলের লোকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ অন্তত ৩৪ জন আহত হন।