রাজ্যে নাকি কোনও আইনশৃঙ্খলাই নেই! এর বিরুদ্ধে এবং কুমারগঞ্জ গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিলের পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। কিন্তু প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই বোধ করেনি তারা। যার ফলে মিছিল বেরাতেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে এখনও অটুট তার প্রমাণ দিয়ে পুলিশি অনুমতি ছাড়াই জমায়েতের অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও, গ্রেফতারির মাঝে মিছিল মামলার রায়ে কলকাতা হাই কোর্ট জানায়, নন্দন থেকে হাজরা পর্যন্ত নয়, পরিবর্তে নন্দন থেকে বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল হয়ে এক্সাইড পর্যন্ত মিছিল হবে। এরপর আবার ওই মিছিল শেষ হবে নন্দন চত্বরে। বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে এবং কুমারগঞ্জ গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে নন্দন থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। তবে শুক্রবারের এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গেরুয়া শিবির। এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল এদিনই।
তবে বেলা বারোটা পর্যন্ত শুনানি শুরু না হওয়ার নন্দন চত্বরে জমায়েত শুরু করেন বিজেপি যুব ও মহিলা মোর্চার সদস্যরা। আর এরপরই অনুমতি ছাড়া জমায়েত করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কেন অনুমতি ছাড়াই জমায়েত করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন করেন পুলিশকর্মীরা। এই প্রশ্ন করায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি যুব এবং মহিলা মোর্চার সদস্যরা। এরপরই পুলিশ মোট কুড়িজনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ধরপাকড়ের পরই বিজেপির মিছিল মামলার রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ওই মামলায় প্রেক্ষিতে বলা হয়, বিকেল ৩টে থেকে ৪.৩০টের মধ্যে মিছিল শেষ করতে হবে। শুক্রবার কলকাতায় একাধিক মিছিল থাকায় যানচলাচলে প্রভাব পড়তে পারে। তাই নন্দন থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হাই কোর্ট।