দেশের অর্থনীতি বেহাল। ধুঁকছে একাধিক শিল্প। জিডিপি পড়তির দিকে। এই অবস্থাতে ‘আচ্ছে দিন’ বলতে গেলে বিজেপির। কারণ সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের বার্ষিক আয়–ব্যয়ের রিপোর্টে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮–১৯ আর্থিক বর্ষে দলের আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে যেখানে আয় ছিল ১০২৭ কোটি টাকা, সেখানে গত আর্থিক বর্ষে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪১০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে আবার ৬০ শতাংশ অর্থ এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে।
২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে বিজেপির আয় ছিল ১০২৭ কোটি টাকা। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রিপোর্টে মোদী–শাহের দল জানিয়েছিল, ওই আর্থিক বছরে তাঁদের ব্যয়ের পরিমাণ ৭৫৮ কোটি টাকা ছিল। এর মধ্যে ৫৬৭ কোটি টাকা তাঁরা খরচ করেছিল ভোট প্রচারে। অন্যদিকে, গত আর্থিক বর্ষে বিজেপি ব্যয় করেছে ১০০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ খরচ বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে ৭৯২.৪ কোটি টাকা তারা ভোট প্রচারে খরচ করেছে। এছাড়া ২০১৭–১৮ আর্থিক বর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে যেখানে এসেছিল ২১০ কোটি টাকা। এবার সেটাও বেড়ে গিয়েছে। অথচ মোদী সরকারের আনা নিয়মানুযায়ী, এই টাকা কে কে দিয়েছে? তার তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য নয় বিজেপি। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। যেখানে দেশের আর্থিক অবস্থা এতটা খারাপ, সেখানে কীভাবে এত টাকা পেল একটি রাজনৈতিক দল? এই কী তাহলে ‘আচ্ছে দিন’? নেটিজেনদের প্রশ্ন, ‘তাহলে বলুন বিজেপির বিকাশ হয়েছে কি না?’