গতকাল বিরোধীদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে দিনভর সংঘর্ষে উত্তাল হয় মালদহের সুজাপুর। সেখানেই এক ভিডিও নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের পোশাকে লাঠি হাতে গাড়ি ভাঙচুর করছে কয়েকজন। মুহূর্তে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে৷ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ বুধবারের গোটা ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে৷
বামেরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি তোলায় তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে৷ এই বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, পুলিশ সত্যিই ওই কাজ করলে তা নিন্দনীয় ঘটনা৷ মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ বুধবারের গন্ডগোলের পর থেকে সুজাপুরে শুরু হয় ব্যাপক পুলিশি ধরপাকড়৷ রাতভর সুজাপুর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চলে পুলিশি তল্লাশি৷ এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ এই ঘটনায় ৭ জন কে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্মঘট সমর্থনকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধারিয়ে দেওয়া হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ ফাটানো হয় কাঁদানো গ্যাসের শেল৷ পরে এলাকায় নামানো হয় র্যাফ৷ বুধবার রাতভর সুজাপুর-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ৷
বাম ও কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সুজাপুর৷ প্রথমে ধর্মঘটীরা রাস্তা অবরোধ শুরু করেছিলেন৷ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলছিল অবরোধ৷ এরপর অবরোধ তুলতে যায় কালিয়াচক থানার পুলিশ৷ তখন ধর্মঘটীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ৷