মাঠের লড়াইকে সবুজ মাঠের বাইরে আনতে নারাজ সবুজ মেরুন। মাঠের বাইরে চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গলের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মোহনবাগান। বার্তাটা স্পষ্ট, মাঠের বাইরে চিরশত্রুর বিপদে পাশে আছে বাগান। বজায় থাক স্পোর্টিং স্পিরিট।
আইএফএ শিল্ড ফাইনাল দেখে ফেরার পথে বাগান সমর্থকদের হাতে গুরুতর জখম হন বালির ইস্টবেঙ্গল সমর্থক অনির্বাণ কংসবণিক। তোপসিয়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি। সৃঞ্জয়ের তরফে অনির্বাণের পরিবারের হাতে ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন বাগানের সম্রাট ভৌমিক ও সঞ্জয় ঘোষ। আগামি দিনে চিকিৎসার জন্য আরও সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসেন সঞ্জয়, সম্রাটরা। পরে অনির্বাণকে দেখতে যান ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সঙ্গে দেবরাজ চৌধুরি। দেবব্রত বলেন, ‘অনির্বাণের চিকিৎসার সব খরচ দেবে ইস্টবেঙ্গল। আর যেন টাকা তোলা না হয়।’ অনির্বাণের খবর সোশ্যাল সাইটে প্রচার হতেই এগিয়ে আসেন মোহন–ইস্ট সমর্থকরাও। আরও একবার প্রমাণ হল, কারও খারাপ সময়ে ময়দান পাশে থাকে। লাল–হলুদের কয়েকটি ফ্যানস ক্লাব দায়িত্ব নিয়ে প্রচার করে, অর্থ সংগ্রহেও নেমে পড়েন।
এদিন অনির্বাণের অস্ত্রপচার হয়। ইটের আঘাতে ডান ভুরুর পাশে গুরুতর চোট পান অনির্বাণ। শিল্ড ফাইনালের দিন রাতে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতেই ছিলেন। মঙ্গলবার হঠাৎই প্রচণ্ড বমি শুরু হওয়ায় নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়। বাবা দ্বিজেন কংসবণিক বলেন, ‘মোহনবাগানকে ধন্যবাদ। সেইসঙ্গে সমর্থকদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আমার বিপদের সময় ওরা যেভাবে পাশে রইল, কোনওদিনও ভুলব না।
ছোট থেকেই ছেলে ইস্টবেঙ্গল অন্ত প্রাণ। ইস্টবেঙ্গলের খেলা হলেই ওর মাঠে যাওয়া চাই। সেদিন মাথা ফাটিয়ে বাড়ি ফেরার পর আমরা খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসার পর বাড়িতেই ছিল। হঠাৎই বাড়াবাড়ি হল মঙ্গলবার।’ এখন অবশ্য ভালো আছে সে।
সৌজন্যের এই ধারাই বজায় থাক ময়দানে। বাঁচুক বাংলা ফুটবলের সমর্থকরা। তবেই তো বাঁচবে ফুটবল।