ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে সিপিএম, ধর্মঘটের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। বাম-কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘটকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বনধে বেশ কিছু রেল স্টেশনে ট্রেন আটকানো, বাস ভাঙচুরের খবর পাওয়া গিয়েছে। যাদবপুর থেকে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী সহ দেড়শো জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বামেদের কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে বামেদের কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে কেন্দ্রীয় ইস্যুগুলির বিরুদ্ধে এই বনধ ডাকা হয়েছে, আগেই এ রাজ্যে তার বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। তখন কোথায় ছিল সিপিএম?’ তাঁর অভিযোগ, এখন বনধ সফল করার জন্য গুন্ডামি করছে সিপিএম। তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, ‘শুধুমাত্র প্রচারের জন্য এই বনধ করছে সিপিএম। এর থেকে ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ ভালো।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘যে কোনও রাজনৈতিক দলের আদর্শ হওয়া উচিত রাজনৈতিক পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখা। এ রাজ্যে বামেরা তা ধ্বংস করছে। এইভাবে দলটা সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে।’ মমতার কথায়, ‘কেরলের সিপিএম তবু ভালো। তারা নির্দিষ্টভাবে আন্দোলন করছে। কিন্তু ৩৪ বছর ধরে সিপিএম বনধ করে করে রাজ্যটার সর্বনাশ করে দিয়েছে।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘রাজধানী দিল্লীতে কটা বনধ করেছে বামেরা? যে সব রাজ্যে বামেরা সক্রিয়, সেখানে কেন্দ্রীয় বিরোধিতায় কী ভূমিকা নিয়েছে তারা? এ রাজ্যের শাসকদল আগেই এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, এনপিআর, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। সিপিএম এখন ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। তারা জোর করে ধর্মঘট সফল করতে চাইছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘গুন্ডামি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’