কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছিলেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবারের তাণ্ডবে যুক্ত নন কোনও বিজেপি নেতা! কিন্তু ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র দিল্লী শাখার যুগ্ম সচিব অণিমা সোনকর জনসমক্ষে স্বীকার করে নিলেন, সে দিন এমনই পরিবেশ তৈরি হয় যে, রড, লাঠি এমনকি, অ্যাসিড সঙ্গে রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। অন্তত নির্দেশও তেমনই ছিল।
ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ দিল্লী পুলিশ। যা দেখে এ দিন পড়ুয়া, প্রাক্তনী এবং শিক্ষকদের বড় অংশের আশঙ্কা, দিল্লী পুলিশের তদন্তের আশ্বাস কেবলই মুখরক্ষার খাতিরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখিয়ে অনেকের অভিযোগ, তাণ্ডব শুরুর আগে লাঠি হাতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউয়ে এবিভিপি-র এগ্জিকিউটিভ কমিটির সদস্য বিকাশ পটেল, এবিভিপি-র আর এক সদস্য শিব পূজন মণ্ডল।
অণিমার দাবি, বামপন্থী পড়ুয়াদের ‘লাগাতার আক্রমণের’ মুখে এবিভিপি-র সদস্যদের ঘর থেকে বাইরে বেরোলে সঙ্গে আত্মরক্ষার সরঞ্জাম রাখতে বলা হয়েছিল। লাঠি, রড, গোলমরিচ গুঁড়োর স্প্রে, অ্যাসিড— যে যা হাতে পেয়েছেন, তা-ই সঙ্গে নিয়ে রেখেছিলেন বলে জানান তিনি। টিভি চ্যানেলে তিনি এ-ও মেনে নিয়েছেন যে, বিকাশ এবিভিপি-র কর্মী। বেফাঁস বলছেন বুঝতে পেরেই অবশ্য বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাঠি হাতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনিই বিকাশ কি না, তা নিশ্চিত করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা থেকে শুরু করে জেএনইউএসইউয়ের প্রেসিডেন্ট ঐশী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকেত মুন— সকলের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, দিল্লী পুলিশ ও এবিভিপি-র মধ্যে যোগসাজশ না-থাকলে, এ ধরনের পরিকল্পিত আক্রমণ এবং তার পরে এমন মসৃণ ভাবে পালানো কখনও সম্ভব নয়।