রবিবার সন্ধ্যায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লীর জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। সেদিন সন্ধ্যায় লোহার রড, ব্যাট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত মেয়েদের সবরমতী হস্টেলে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় এবিভিপির গুন্ডারা। যাতে গুরুতর জখম হন ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ, অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন-সহ বহু পড়ুয়া। আর তারপর থেকেই প্রতিবাদে সরব যাদবপুর, পণ্ডিচেরি থেকে শুরু করে অক্সফোর্ডও। এবিভিপির মুখোশধারী গুন্ডাবাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে কার্যত ফুঁসে উঠেছেন দেশ-বিদেশের পড়ুয়ারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ হেন হিংসার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে পণ্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইআইটি মুম্বই-সহ দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়। দেশের বাইরে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে পদযাত্রা করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)–র পড়ুয়ারাও প্রতিবাদে যোগ দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ‘এফটিআইআই জেএনইউ-র সঙ্গে আছে। এবিভিপির গুন্ডাগিরির নিন্দা করছি’ লেখা ব্যানার হাতে দেখা যায় তাঁদের। আবার পণ্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া রিয়াজ বলেন, ‘আজ ওরা আক্রান্ত, কাল আক্রমণ হতে পারে আমাদের ওপর। হিংসা সর্বদাই নিন্দনীয়। আমরা জেএনইউ-র বন্ধুদের পাশে আছি।’ মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে প্রতিবাদে যোগদান করে বহু পড়ুয়া। আক্রান্তদের প্রতি সমবেদনা, সংহতি জানান তাঁরা। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়াধ। তিনি বলেন, ‘মানুষ যখন মেধাকে ভয় পায় তখন নৈরাজ্য দেখা দেয়।’