প্রায় একমাসের বেশি হয়েছে মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন। কিন্তু তারপরও দফতর বন্টন নিয়ে বিস্তর জলঘোলা চলেছে৷ শেষপর্যন্ত আজ সামনে এল মন্ত্রীদের চূড়ান্ত তালিকা৷ যাতে গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেতে দেখা যাচ্ছে এনসিপিকে৷ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে৷ অন্যদিকে যাকে ঘিরে এতদিন জল্পনা চলছিল সেই আদিত্য ঠাকরে পেয়েছেন পরিবেশ, পর্যটক ও প্রোটোকল মন্ত্রকের দায়িত্ব৷ দায়িত্ব বন্টনের পরই মন্ত্রীত্বের চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির কাছে৷ যাতে সিলমোহর দেন তিনি৷
রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও শিবসেনাকে নিয়ে সরকার গঠনের উদ্যোগ প্রথমে নিয়েছিলেন এনসিপি-র প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার। মন্ত্রকের নিরিখে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলিই গেছে এনসিপির ঝুলিতে৷ গৃহমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক, সেচ ও আবাসন মন্ত্রক পেয়েছে এনসিপি৷ সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রীরও পদ পেয়েছে শরদ পাওয়ারের দলই৷ এনসিপির অনিল দেশমুখকে করা হয়েছে আবাসন মন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী হয়েছেন এনসিপির দিলীপ ওয়ালসে প্যাটেল৷ এদিকে সামাজিক ন্যায়বিচারের মন্ত্রকটিও দেওয়া হয়েছে এনসিপিকে৷
এদিকে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে ফের একবার বসেছেন অজিত পাওয়ার৷ যার কীর্তিকলাপেই রাতারাতি অন্য খেলা দেখেছিল মহারাষ্ট্র৷ রাতারাতিই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার৷ এমনকি উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বিজেপি সরকারের হয়ে শপথও নিয়েছিলেন তিনি৷
তবে নানা টালমাটাল পরিস্থিতি পেরিয়ে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকার গঠন করার পর ফের এনসিপির ফিরে আসেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো৷ আর এবার মহারাষ্ট্রের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ গেল তাঁর ঝুলিতেই৷ অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে রাজনীতির আঙিনায় নতুন হওয়ায় তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ পদ পরিবেশ, পর্যটন ও প্রোটোকল মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েই আপাতত ক্ষান্ত থাকতে চাইছে সেনা, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা৷