সিএএ-র প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে আসাম৷ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে একপ্রকার নাজেহাল দশা আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের৷ আর এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের টুইট ঘিরে তৈরি হল নয়া বিতর্ক৷ এদিন তিনি টুইট করে লেখেন, সিএএ-তে আসামের ভূমিপুত্রদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে৷ তাঁদের স্বার্থ নিয়ে কোনওভাবেই সমঝোতা করা হবে না৷ এই মন্তব্য যে নরেন্দ্র মোদীর অস্বস্তি বাড়াবে তা বলাই যায়৷ কারণ মোদীর নিজের দলের মন্ত্রীই এখন বেসুরে গাইছেন৷ মোদী যখন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করে কংগ্রেসকে তুলোধনা করছেন, তখন অন্য সুর শোনা গেল তাঁরই দলের মুখ্যমন্ত্রীর গলায়৷ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বারেবারে উত্তপ্ত হয়েছে আসাম৷ এর আঁচ ভালোই পেয়েছেন সোনোয়াল৷ এই কারণেই কি তাঁর এই ভোল বদল?
গত এক মাসে সোনোয়াল বিভিন্ন প্রতিবাদ মিছিলে কালো পতাকা দেখেছেন৷ এই আন্দোলনের আঁচ ভালোই বুঝেছেন তিনি৷ তাই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েও আসামের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সোনোয়াল৷ একে হাতিয়ার করতে দেরি করেনি কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের কমিউনিকেশন ইন চার্জ রনদীপ সিং সুরযেওয়ালা পাল্টা টুইট করে বলেন, মিস্টার প্রধানমন্ত্রী দেশকে বোকা বানানো বন্ধ করুন! আপনার নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রী খোলাখুলি এবার সিএএ-র বিরোধিতা করছেন৷ এবার আপনি কি তাঁকে দেশ-বিরোধী ঘোষণা করবেন?
মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল বলেন, আসামবাসীর প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি অটুট থাকবে৷ আমি এই ভূমির সন্তান৷ আসামবাসীর আশীর্বাদ ভুলব না৷ যদিও আমি একটি জাতীয় দলের সঙ্গে আছি৷ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সফর শুরু হয় অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে৷ ফলে আজ এদের আন্দোলন উপেক্ষা করতে পারলেন না সোনোয়াল? তাই কি পিছু হটলেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন।