আজকেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে দু’জনের বৈঠকের ছবি পোস্ট করে রাজ্যপাল টুইট করেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব সুন্দর ও আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে ২০২০ সালের শুভেচ্ছা।’ আর এদিনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বাসভবনে ফুল ও মিষ্টি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি বিশেষ সমাবর্তন ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারও আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য জগদীপ ধনকরের প্রবেশ নিয়েও একপ্রস্থ ঝঞ্ঝাট হয়েছিল। এসবের পর চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফেরার পরই এর বিহিত চেয়ে চিঠি লেখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা মতো সময়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে চান বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী একদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিয়ে জানান, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
এরপরই শিক্ষামন্ত্রী নিজে চিঠি লিখে ধনকরকে জানান, শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে খুব একটা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। রবিবার রাজ্যপালকে ট্যাগ করে সেই চিঠি টুইটারে প্রকাশও করেন শিক্ষামন্ত্রী। পাল্টা জবাব দেন আচার্য জগদীপ ধনকর। এ নিয়ে রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর টুইটযুদ্ধও বেশ জমে ওঠে। তবে এসব জট কাটিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পার্থবাবু। আর তারপরই বরফ গলে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তারপরই সমস্ত তিক্ততা ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার রাজ্যপাল।