এনআরসি হোক বা সিএএ বিভাজনের এই আইন মানব না। এই দাবিতে ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দেশের একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এবার এই আইন বিরোধিতার পথে হেঁটে মোদী সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্চ ছুঁড়ে দিল বাম শাসিত রাজ্য কেরালা। সিএএ-এর বাতিল চেয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করল পিনারাই বিজয়ন সরকার।
মোদী সরকারকে কার্যত নিশানায় নিয়ে মঙ্গলবার কেরালা বাম সরকার বিধানসভায় এই প্রস্তাব তুললে, প্রস্তাবকে সমর্থন করে এলডিএফ, ইউডিএফ এবং কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি। তবে শাসকদলের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে একমাত্র বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজাগোপাল। তবে সে দাবি ধোপে টেকেনি। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার সময় কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, ‘এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী। নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে।’ শুধু তাই নয়, ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার যে ছবি এতদিন ধরে তৈরি হয়ে রয়েছে, তাতে আঘাত হেনেছে এই আইন।’
শুধু সিএএ আইন নয়, এদিন বিজেপি ও আরএসএসকেও একহাত নিতে ছাড়েননি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আরএসএস মুসলিম, খ্রিস্টান ও কমিউনিস্টদের তাদের আভ্যন্তরীণ শত্রু হিসাবে বিবেচনা করে। ঠিক যেমনভাবে জার্মানির হিটলার ইহুদি ও বলশেভিকদের শত্রু হিসাবে মনে করত। আমাদের দেশের এই আরএসএসের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি হিটলারের মতোই।’
উল্লেখ্য, কেরালায় এনআরসি ও এনপিআর করতে দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সেই পথে হেঁটে এবার সিএএ আইনকে রাজ্য ছাড়া করতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করল কেরালা সরকার। বলাবাহুল্য কেরালা সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে বেশ চাপে পড়ল কেন্দ্রের মোদী সরকার।