অবশেষে নিজেদের কড়া অবস্থান থেকে সরে এল ভারত। আইওএ-র তরফে প্রথমে শোনা গিয়েছিল, কমনওয়েলথ গেমস বয়কট করবে ভারত। তবে এখন জানা গেছে, ২০২২ বার্মিংহ্যাম গেমসে যোগ দেবে পুরো দলই। শুধু তাই নয়, ২০২৬ অথবা ২০৩০ গেমস করার জন্য বিড করবে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।
বার্মিংহ্যামে ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস বয়কটের পথে হাঁটার কথা ভাবা হয়েছিল শ্যুটিং ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায়। সোমবার আইওএ-র বার্ষিক সভার পরে শ্যুটিং নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। জানানো হয়, গেমসের আগে কমনওয়েলথ শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ করার জন্য কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনের (সিজিএফ) কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। আইওএ-র সচিব রাজীব মেহতা সভার পরে বলেন, ‘বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে ভারত অংশ নেবে বলে এখন ঠিক হয়েছে। পুরো দলই যাবে সেখানে।’ যা জানার পরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিজিএফ প্রেসিডেন্ট ডামে লুইস মার্টিন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এটা কমনওয়েলথ গেমসের পক্ষে অত্যন্ত ভাল খবর।’
প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র বাত্রাকে পাশে বসিয়ে রাজীব মেহতা জানিয়ে দেন, তাঁদের পরের পদক্ষেপ হতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করা। ২০১০ সালে দিল্লীতে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেমস। তারপর আর্থিক তছরুপ-সহ নানা ঘটনা ঘটেছিল। প্রচুর খরচ নিয়ে বিস্তর প্রশ্নও উঠেছিল। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার শেষ পর্যন্ত গেমস সংগঠনের অনুমোদন দেবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান আইওএ কর্তারাই।
বয়কটের পথ থেকে সরে এলেও শুটিং-কে ইভেন্ট হিসাবে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা অবশ্য কাটেনি। আইওএ প্রেসিডেন্ট নরেন্দ্র বাত্রা বলেছেন, ‘২০২০-র মার্চে কী হবে, তা নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা ঠিক হবে। ভাল কিছু হবে আশা করেই যোগ দেব আমরা। সিজিএফ এ এই ব্যাপারে যথেষ্ট ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।’ পাশাপাশি আইওএ-র সভায় মূল গেমসের আগে কমনওয়েলথে তিরন্দাজি করার জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। কারণ, শুটিংয়ের মতো তিরন্দাজিকেও পদক-ইভেন্ট হিসাবে রাখা হয়নি এবারের কমনওয়েলথ গেমসে।