রবিবার রাঁচির মোরাবাদী ময়দানে ঝাড়খন্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনের শপথের দিন দেশের তাবড় তাবড় বিরোধী নেতাদের উপস্থিতিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিরোধী শিবিরের মধ্যমণি আসলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সেদিন তৃণমূল নেত্রী মঞ্চে উঠতেই হাততালিতে ফেটে পড়েছিল গোটা সভাস্থল। মমতাকে দেখে শ্রোতাদের উচ্ছ্বাসই বলে দিয়েছিল তাঁর প্রতি কি অগাধ শ্রদ্ধা বাইরের রাজ্যের মানুষের মধ্যেও। এবার সেই মমতাকেই চিঠি দিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। এনআরসি-সিএএ নিয়ে বাংলার অগ্নিকন্যা যে আন্দোলন করছেন, তিনি সেই আন্দোলনের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান।
প্রসঙ্গত, এনআরসি-সিএএ বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদ গড়ার লক্ষ্যে দেশের প্রধান বিরোধী নেতাদের তো বটেই সেইসঙ্গে অবিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী মমতাকে চিঠি লিখে তাঁর সমর্থন জানিয়েছিলেন। সোমবার সেই চিঠির জবাব দিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ। চিঠির প্রথমেই তিনি লিখেছেন, ‘গোটা দেশে যে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আপনার চিঠি পেয়েছি।’ এর পরেই শরদ পাওয়ার লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনও আন্দোলনে আমি থাকতে পারলে খুশি হব। এই পরিস্থিতিতে দেশের গণতন্ত্রকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
এখানেই শেষ করেননি পাওয়ার। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘এই প্রেক্ষাপটে যদি কোনও আন্দোলন-কর্মসূচী বা পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা নেন তাহলে জানাবেন। আমি থাকব।’ উল্লেখ্য, সদ্যই মহারাষ্ট্রের মহানাটক দেখেছে দেশ। সেই পর্বে বিজেপির হাত থেকে কুর্সি ছিনিয়ে নিতে যা যা সমীকরণ দেখা গিয়েছিল তা দেখে অনেকেই বলেছিলেন, আসলে খেলাটা ঘুরিয়েছেন এই পোড় খাওয়া রাজনীতিক। সেদিক থেকে মমতাকে চিঠি লিখে পাওয়ারের এই পূর্ণ সমর্থনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।