প্রথম দফায় ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই ভারতে গোমাংসের বিক্রিতে লাগাম টেনেছিল মোদী সরকার। সেই মতোই দেশের নানা প্রান্তে তথা গো-বলয়ে গরুর নিধন কিংবা গরুর মাংস বিক্রি নিয়ে অলিখিত নানা নিয়ম বানাতে দেখা গিয়েছে সরকারকে। তাঁর বিনিময়ে গরুকে পোষ মানানোর জন্য ও গরু সংরক্ষনের জন্য নানা ধরনের নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু ভারতে হয়ত গো-মাংসের বিক্রিতে লাগাম টানা গিয়েছে কিন্তু রপ্তানিতে সেই বাঁধা একেবারেই পড়েনি। এক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে চলতি বছরে গরুর মাংস রপ্তানিতে ভারত বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
প্রথমে রয়েছে ব্রাজিল। ২০১৭ সালে ভারতের গরুর মাংসের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। চলতি বছরে সেটা ১.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টনে দাঁড়ালেও অন্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। ব্রাজিলের চলতি বছরে গো-মাংস রপ্তানির পরিমাণ ২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যা গতবছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রশ্ন একটাই, ভারতের মধ্যে বিফের বিক্রিতে লাগাম দিলেও বাণিজ্যিক কারণে কেন লাগাম টানা হয়নি গো-মাংসে? গোটা বিশ্বে বিফ রপ্তানিতে ভারতের পরেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর মত দেশগুলি।
এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে ভারতে গো-মাংস রপ্তানিতে মূল মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। ভারতের বিভিন্ন বিষয়ের মতোই এই গো-মাংসের রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি পদে বাঁধা দিচ্ছে চিন। সূত্রের খবর, ভারতের গরুর মাংসের চামড়ায় বিশেষ অসুখ রয়েছে এই কারণ দেখিয়ে চিনের বাজারে বিফ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে শি জিংপিং-এর সরকার।
চিনের প্রশাসনের কড়া নির্দেশ ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া বিফ ঘুরপথে কিংবা চোরা চালানের মাধ্যমে যদি চিনে প্রবেশ করে তাহলে সেটা অবৈধ। আর যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁদের গ্রেফতার করে বিপুল অঙ্কের টাকা জরিমানাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় ভারত বিফ রপ্তানি করে প্রচুর পরিমাণ বিদেশে মুদ্রা উপার্জন করে। আর একারণেই কি বিশ্ববাজারে গোমাংস রপ্তানিতে বাঁধা দিচ্ছে না ভারত সরকার? তেমনটাই প্রশ্ন উঠছে।