সিএএ লাগু হলেও, এই আইন নিয়ে খুব একটা সুবিধানজনক অবস্থায় নেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কারণ দেশের একের পর এক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিএএ ও এনআরসি, দুই বিষয়েই বেঁকে বসছেন। এই অবস্থায় সোমবার ফের একবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে বলতে শোনা যায়, তাঁর সরকার রাজ্যে কখনই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হতে দেবে না। ‘এই আইন আটকাতে কংগ্রেস সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ’ করবে বলেও জানিয়ে দেন পাঞ্জাবের ‘ক্যাপ্টেন’।
এদিন নিজের দলীয় কর্মসূচিতে এসে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ই এই ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গোটা দেশ যেভাবে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাতে স্পষ্ট, দেশের মানুষ এটার সমর্থনে নেই। অমরিন্দরের অভিযোগ, ‘বিজেপি সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার এই মারাত্মক চেষ্টা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে।’ নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মঞ্চ থেকে এমন আশঙ্কাই প্রকাশ করতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে পুলিশি হেনস্থার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথকে নিশানা করে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আপনার লজ্জা হয় না?’
দেশের ১৬টি অবিজেপি শাসিত রাজ্যই বিশেষত এনআরসি ও সিএএ লাগু করার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনও প্রকারে মলম লাগিয়ে চেষ্টা করছে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনার। কিন্তু পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘যে দাম্ভিক সরকার কেন্দ্রে বসে দেশ শাসন করছে, তাঁরা দেশের কণ্ঠস্বরই শুনতে চায় না।’