ঝাড়খণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপস্থিতিকে এদিন কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই গোটা ঘটনাটাকে ‘ঝাড়খণ্ড সার্কাস’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এনআরসি-র বিরোধিতা করার জন্য বিরোধীদের লাশ গুনতে হবে বলেও হুমকি দেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার আইসিসিআরে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজিত মিটিংয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বিষোদ্গার করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
হেমন্ত সোরেনের শপথমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিরোধিতার নাম করে সবাই একলাইনে দাঁড়াল। লোকসভার আগে এরাই এসেছে। মানুষ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।’ এরপরেই এই গোটা ঘটনাটিকে ‘ঝাড়খণ্ড সার্কাস’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘সিএএ নিয়ে কোনও বিতর্ক হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। সংবিধান আক্রান্ত হচ্ছে। এনআরসি কোথায় হবে, কখন হবে, তার ঠিক নেই। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে হইচই করছে।’ এই কথা বলার পরই এদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের যারা বিরোধিতা করছেন খুব শীঘ্রই তাদের লাশ গুনতে হবে বলে হুমকি দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যেখানে যেখানে আমাদের দলের সরকার আছে, সেখানে আন্দোলনের নামে সমাজ বিরোধী কাজ চলছে। এখন সমাজবিরোধীদের যেভাবে শায়েস্তা করা দরকার, সেইভাবেই শায়েস্তা করা হচ্ছে। বিরোধীদের বলছি, সারা দেশে লাশ গুনতে হবে আপনাদের।’
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হতে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। যার প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশজুড়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও দেখা গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এর প্রভাব যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট ব্যাংকের ওপর পড়তে চলেছে ইতিমধ্যেই তার আঁচ পেয়েছে বিজেপি। এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ইতিমধ্যেই সিএএ-এর পক্ষে জনমত গঠনে নানান পথ অবলম্বন করেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু তার মধ্যেই এ দিন ফের তাল কাটে রাজ্য বিজেপির সভাপতির বক্তব্যে।
বিরোধিতা করলেই যদি লাশ গুনতে হয় তাহলে এই দলের ভবিষ্যৎ কতদূর ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে এ বিষয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা।