গত ৫ আগস্ট সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংসদে বিল এনে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন তিনি। আর সেই থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। শুধু তাই নয়। উপত্যকায় দীর্ঘ দিন মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। আর এবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ চলায় দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এভাবে কেন্দ্রীয় নির্দেশে নেট বন্ধের জেরে টেলিকম সংস্থাগুলির প্রতি ঘণ্টায় ২.৪৫ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের।
প্রসঙ্গত, এমনিতেই ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে দেশের টেলিকম শিল্প। তার ওপরে গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাঁধে চেপেছে লাইসেন্স ফি-র বিপুল বকেয়ার বোঝা। ভারতে মাসে গ্রাহক পিছু গড়ে ৯.৮ জিবি ডেটা ব্যবহার হয় বলে সমীক্ষায় দাবি সুইডিশ সংস্থা এরিকসনের। যা সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশি। এই অবস্থায় বিভিন্ন অঞ্চলে নেট পরিষেবা বন্ধের জেরে আরও সমস্যায় পড়েছে টেলি শিল্প। সিওএআইয়ের ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, ‘ইতিমধ্যেই পরিষেবা বন্ধের জেরে ক্ষতির অঙ্ক কষা হয়েছে। যে ভাবে নেট পরিষেবা বাড়ছে, তাতে আমাদের হিসেব অনুসারে, বছর শেষে এই ক্ষতির অঙ্ক ঘণ্টায় প্রায় ২.৪৫ কোটি টাকা।’