অবসরের বেশ কয়েক বছর বাদে তাঁর সময়ের জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে বোমা ফাটালেন পাকিস্তান তারকা শোয়েব আখতার। ক্রিকেট দলে তাঁর সতীর্থ লেগস্পিনার দানিশ কানেরিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমতো সেসময়ের অন্যান্য সতীর্থদের লক্ষ্য করে তোপ দাগলেন ক্রিকেটের ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। তিনি বলে দিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলে বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়ার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। কারণ দানিশের ধর্ম হিন্দু। তাই দলে কিছুটা ব্রাত্য ছিল ও। অনেকে ওর সঙ্গে বসে খেতে পর্যন্ত চাইত না। শোয়েবের এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার ছিলেন দানিশ কানেরিয়া। এর আগেও তাঁরই মামা অনিল দলপত ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু ক্রিকেটার। পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট ম্যাচে ২৬১ উইকেট নিয়েছেন দানিশ। গড় ৩৪.৭৯। পাকিস্তানের হয়ে ১৮টি ওয়ান ডে-ও খেলেছেন কানেরিয়া।
বৃহস্পতিবার পাক টিভিতে সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে শোয়েব বলেন, ‘খেলোয়াড় জীবনে আমি দু’তিন জনের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করেছি, যখন তাঁরা ধর্ম নিয়ে কথা বলেছে। তাঁরা যখন বলত, কে করাচির, কে পঞ্জাবের বা কে পেশোয়ারের, তা শুনে রাগ হত। সে-রকমই কোনও ক্রিকেটার যদি হিন্দু হয়, আর সে যদি পাকিস্তান দলের হয়ে ভাল পারফরম্যান্স করে, তা হলে ধর্মের কথা ওঠে কী ভাবে?’
শোয়েবের এহেন মন্তব্যের পরই সংবাদসংস্থার তরফে যোগাযোগ করা হয় কানেরিয়ার সঙ্গে। সেইসময় তিনি শোয়েবের মন্তব্য ঠিক বলে মেনে নেন। বলেন, ‘শোয়েব ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি। ওর কথাবার্তাও ওর বলের মতোই শানিত। যখন পাকিস্তানের হয়ে খেলতাম, তখন এই কথাগুলো প্রকাশ্যে বলার সাহস ছিল না। কিন্তু শোয়েবের এই বক্তব্যের পরে এ বার আমিও মুখ খুলব।
এরপর তিনি বলেন, যাঁরা আমার সঙ্গে সেইসময় খারাপ আচরণ করেছে, আমি তাঁদের নাম খুব শীঘ্রই প্রকাশ্যে আনবো। তবে তিনি এও বলেন যে, শুধু শোয়েব নয়, ওই সময়ে আমার হয়ে আরও অনেকেই লড়াই করেছে দলের মধ্যে। ইনজামাম-উল-হক, মহম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খান তাঁরাও আমার পাশে ছিলেন বরাবর।