মানুষের হাতে থাকা অনেক নথিপত্রই এখন স্মার্ট। এবার সেই পথে হেঁটে স্মার্ট হতে চলেছে ‘ভোটার পরিচয়পত্র’ বা ‘এপিক’ কার্ড। যদিও তথাকথিত কোনো স্মার্ট কার্ড নয়। কারণ এতে কোন চিপ থাকছে না। সাদা-কালো কাগজের বদলে এ বার ঝকঝকে রঙিন প্লাস্টিকের স্মার্ট রূপ ধারণ করতে চলেছে ভোটার কার্ড। সেই সঙ্গে পরিচয়পত্রে থাকবে বারকোডও। নির্বাচন কমিশনের ভাষায় যাকে বলা হয় পলি ভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) কার্ড।
নির্বাচন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এখনকার ভোটার পরিচয়পত্রে হলোগ্রাম রয়েছে। রঙিন পরিচয়পত্রে তা থাকবে না। তার বদলে সেখানে একটি ‘ইনভিজিবল নম্বর’ বা অদৃশ্য নম্বর থাকবে। যা শুধু কমিশনের পক্ষেই দেখা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে পুরনোর মতো নতুন রঙিন পরিচয়পত্রেও থাকবে নাম, সম্পর্ক, লিঙ্গ, বয়স, ঠিকানা ইত্যাদি।
রাজ্যের প্রায় আড়াই কোটি ভোটারের ‘ডব্লিউবি’ সিরিজের ১৬ সংখ্যার পরিচয়পত্র রয়েছে। কোনও ভোটার যদি সেটি সংশোধন করেন, তা হলে তাঁর নতুন পরিচয়পত্রটি হবে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ ১০ সংখ্যার। তবে পুরনো পরিচয়পত্রও বৈধ থাকবে বলে কমিশন-কর্তারা জানিয়েছেন।
রাজ্য নির্বাচন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন এই কার্ড তৈরি হবে সিন্থেটিক প্লাস্টিক পলিমার দিয়ে। যা ভিনাইল ক্লোরাইডের পলিমারাইজেশনের মাধ্যমে তৈরি হয়। ১৬ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকায় সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজনের কাজ চলবে। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। তার পরে রঙিন প্লাস্টিক কার্ড পাবেন ভোটারেরা।
কিন্তু রঙিন পরিচয়পত্রের সুবিধা কি? কমিশন-কর্তাদের মতে, এতে বেশ কিছু সুবিধা থাকছে। প্রথমত, প্রযুক্তির সুবিধা। দ্বিতীয়ত, বারকোড ও অদৃশ্য নম্বর থাকায় পরিচয়পত্র আরও বেশি নিরাপদ হচ্ছে। তৃতীয়ত, কমিশনের একটি তথ্যভাণ্ডারে বিষয়টি চলে আসছে। প্লাস্টিক পরিচয়পত্রে যে-বারকোড দেওয়া হবে, তাতে ভোটারের যাবতীয় তথ্য থাকবে বলে জানাচ্ছে কমিশন। এখন ভোটার পরিচয়পত্র তৈরি করবে জেলা প্রশাসন।