বড়দিনে প্রতিবারের মতো এবারও সেজে উঠেছে কলকাতার বো ব্যারাক। তবে উৎসবের আমেজে মোদীর এনআরসি আতঙ্ক যেন কিছুটা তাল কেটেছে। প্রত্যেক বছর কেকের পসার নিয়ে বসা অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ। কারণ, সামনের বছরও এই পসার সাজানোর সুযোগ সমানভাবে থাকবে কিনা সেই চিন্তায় এবছরই যেন ফিকে হয়ে গিয়েছে বড়দিনের আনন্দ।
কলকাতায় এই সাহেব পাড়ায় চার প্রজন্ম ধরে রয়েছে ভেনেজুয়েলার মাইকেল। তিনি জানাচ্ছেন, ‘চার প্রজন্ম ধরে কলকাতায় রয়েছি। হঠাৎ এই এনআরসির আতঙ্কে বুক কাঁপছে। যদি নিজেদের এই চেনা আস্তানা ছেড়ে চলে যেতে হয় তবে তা খুবই দুঃখের।’ উৎসবের আমেজে মেতে উঠলেও এখানকার বাসিন্দাদের কোথাও যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে এনআরসি আতঙ্ক।
তবে এনআরসির বিরোধিতায় প্রচার করতে এই বো ব্যারাকে এসেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি অবশ্য সেখানে গিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করে জানান, “সিএএ- এনআরসি কোনটাই প্রযোজ্য হবে না বাংলার ক্ষেত্রে। তাই সবাইকে আতঙ্ক ঝেড়ে ফেলে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠুন”।
বড়দিনের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বো ব্যারাক। অস্থায়ী দোকানে চিকেন কাবাব, ফিস টিক্কা, কেক ও নানান সুস্বাদু খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন সেখানকার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানরা। চলে সান্তাক্লজের টুপি, রঙিন চশমা-সহ নানা আকর্ষণীয় জিনিসের বিক্রি। তবে এবার দোকান বসলেও উৎসাহ নেই আগের মত।