যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে মেনে নেওয়া হবে না, তা ছাত্রছাত্রীরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল গেছিলেন এবং পূর্ব ঘোষণামতই তিনি আসতেই দেখানো হয় কালো পতাকা, ওঠে গো-ব্যাক স্লোগান। ‘বিজেপির দালাল রাজ্যপাল’-এর হাত থেকে সমাবর্তনে পদক নেওয়ার কথা আগেই অস্বীকার করেছিলেন কৃতি পড়ুয়ারা। এবার তাঁর সাম্মানিক আচার্য পদ থেকেও বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে। কেননা তিনি কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি-র এজেন্টের ভূমিকা এই রাজ্য পালন করছেন বলে দাবি পড়ুয়াদের। সম্প্রতি একটি খোলা চিঠিতে রাজ্যপালকে বহিষ্কারের দাবি করা হয়েছে যাদবপুরের তরফে। সমাবর্তনের মঞ্চেই অবশ্য নাগরিকত্ব আইনের কপি ছিঁড়ে ‘গোল্ড মেডেলিস্ট’ দেবস্মিতা চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তারা এমনটাই করবেন।
পড়ুয়াদের তরফে রাজ্যপালকে নিশানায় নিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখা হয়। যেখানে জগদীপ ধনকড়কে ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘বিজেপির দালাল’-এর মতো বিশেষণ ব্যবহার করে বিঁধেছে পড়ুয়ারা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনাকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির আচার্য পদ থেকে আপনাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন আপনাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপালের পদ থেকে বঞ্চিত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, রাজ্যপালের সাধারণ জ্ঞান বা তর্ক করার ক্ষমতা নেই। তিনি ইতিহাস বোধ শূন্য, ছাত্র, কর্মী ও মুসলমানদের প্রতি সহিংসতার মনোভাব রয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিতর্কের শিরোমণি ধনকড়। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে উদ্দেশ্য করেও একাধিক আপত্তিজনক শব্দের ব্যবহার তিনি করেছিলেন বলে জানা যায়। এরপরই আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে বহিষ্কারের দাবিতে ফেটে পড়ে যাদবপুর।