আগামী ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার শপথ নেবেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। সেই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানান হেমন্ত।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। গত বারের চেয়ে ১২টি আসন কমেছে। জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। ২৫টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। সেখানে বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে।
দেশজুড়ে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভের আবহে ঝাড়খণ্ডের এই জয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। ঝাড়খণ্ডে এই রায়ের মাধ্যমে জনতা জাতপাত ও ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভাজিত করার চেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। আর ‘গোটা ভারতকে বিজেপি-মুক্ত করার সময় এসেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।
পড়শি রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হবে বলে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই আগাম ইঙ্গিত অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মমতা। মঙ্গলবারই কলকাতার মিছিল থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড হয়েছে লন্ডভন্ড।’ এর আগে গত বছরের মে মাসে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা। তার পরে এই প্রথম কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তিনি।