রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত চরমে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের দিকে বারবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েও কোনো লাভ হয়নি। সহযোগিতার বদলে রাজ্যপালের তরফ থেকে এসেছে বিরুদ্ধাচরণ। বারবার নানা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তেমনি ক্যাব পরবর্তী পরিস্থিতিতেও রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল। সেই সংঘাতের আবহকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তলব করেছেন রাজ্যপাল। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসতে বাধ্য হওয়া রাজ্যপাল আবার একবার মুখ্যমন্ত্রীকে ফের ডেকে পাঠালেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উদ্ভূত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য চিঠি দিয়ে আবেদন জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখডর। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে শিক্ষাক্ষেত্রের এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিষ্ক্রিয় থাকতে পারেন না। শুধু তাই নয়, আগামী ১৩ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের রাজভবনে ডাকছেন তাদের সমস্যা শোনার জন্য।
এদিন রাজ্যপালকে ছাড়াই শেষপর্যন্ত সম্পন্ন হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিক্ষোভের মুখে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থাকার পর শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান আচার্য। তারপরই যাদবপুর বিশ্বিদ্যালয়ে শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে ঘেরাও হন আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর এই জটিল অবস্থাতেই মঙ্গলবার ফের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল ধনখড়। এদিন সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার মুখেই রাজ্যপালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক কর্মী সংগঠন শিক্ষ বন্ধুর সমিতির সদস্যরা। সঙ্গে চলতে থাকে গো ব্যাক স্লোগান। দেখানো হয় কালো পতাকা।