একমাসের ‘মহানাটক’ শেষ হওয়ার পর সরকার গঠন হয়েছে মারাঠাভূমে। শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মহাজোট মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছে। সেই থেকে শুরু জোট সরকার ও বিজেপির প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দিনদিন বেড়েই চলেছে। তারপর সিএএ নিয়েও দুই দলের দূরত্ব এখন দুই মেরুতে। লোকসভায় ক্যাবের সমর্থন করলেও রাজ্যসভায় বেঁকে বসেন শিব সেনার সাংসদরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেই দেশের একের পর অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো নিজেদের রাজ্যে এনআরসি কার্যকর করতে দেবে না বলে জানান। এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর রাজ্যেও ডিটেনশন ক্যাম্পের কোনও জায়গা নেই। রাজ্যে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিয়েছেন মহা বিকাশ আগাড়ি জোটের মুখ্যমন্ত্রী।
উদ্ধবের কথায়, ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ‘ডিটেনশন ক্যাম্প কেবলমাত্র বিদেশি নাগরিকদের জন্য যারা জেল খাটছেন এবং পরবর্তী সময় কাটাতে পারেন। যদিও আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, রাজ্যে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প আমরা তৈরি করতে দেব না।’
সিএএ বা এনআরসি-র কোপে কারোর সঙ্গে কোনও রকমের অন্যায় করা হবে না বলেও জানান উদ্ধব। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার অন্য দুই শরিকসঙ্গী অর্থাৎ কংগ্রেস ও এনসিপি কিন্তু সরাসরি এনআরসি বা সিএএ-র বিরোধিতা করেছে। এই নিয়ে উদ্ধবের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টে যে পিটিশনগুলি দায়ের হয়েছে তার উত্তরে শীর্ষ আদালত কী বলে সেটা দেখেই নিজের অবস্থান ঠিক করবেন তিনি। এমতবস্থায় সোমবার এক মুসলিম প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।