ইঙ্গিত আগেই ছিল। সেটাই আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভার ফল প্রকাশের পর স্পষ্ট হল। সকাল থেকে ঝাড়খণ্ডে ভোটের ফলাফলের যে ট্রেন্ড দেখা গেছিল তাতে স্পষ্ট, পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি। সেই মতোই হার হল বিজেপির। দেশজুড়ে এনআরসি এবং সিএএ বিরোধী উত্তাল হাওয়ার মধ্যে বিজেপিকে পরাস্ত করে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। আর জোটের জয়ের পরে প্রথম বার সাংসাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেএমএম সুপ্রিমো তথা ভাবি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে রাজ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং পেশ নির্বিশেষে সবাইকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে, আপনাদের প্রত্যাশা অপূর্ণ থাকবে না।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে খুব শীঘ্রই জোটের নেতারা বৈঠকে বসবে।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ৮১। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৭টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এ দিকে, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) পেয়েছিল ৫টি আসন। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ১৯টি এবং কংগ্রেস ছ’টি আসন জেতে। ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা-প্রজাতান্ত্রিক মোট ৮টি আসন জিতলেও পরে তাদের ৬ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেয়। ফলে বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪৩। কিন্তু নতুন বিধানসভায় বিজেপির আসন কমে অর্ধেকের থেকে সামান্য বেশি হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।