২০০৫ সালে তথ্যের অধিকার আইন দ্বারা জানানো হয়েছিল, যে সব ভারতীয় নাগরিকের সব তথ্য জানার অধিকার আছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই আইন থেকে দূরে সরে গেল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন দেশ থেকে কত কালো টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেয়নি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
তথ্যের অধিকার আইনে পিটিআইয়ের এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, “কর সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী এই ধরনের তথ্য আদানপ্রদান করা গোপনীয়তার মধ্যে পড়ে। সুতরাং তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(এ) এবং ৮(১)(এফ) ধারায় অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও তথ্য চাওয়া এবং প্রদান করাকে বাদ রাখা হয়েছে।”
তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ভারতীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই ধরনের কোনও তথ্য কোনও দেশ ভারতকে জানিয়ে থাকলে, তাও জানানোর কথা বলা হয়।
গোপনে টাকা রাখার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই সুইৎজারল্যান্ডকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হত। তবে নতুন এই আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং কালো টাকা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক চাপের জন্য অনেক ভারতীয়ই সে দেশে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য প্রকাশের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাপ বাড়ছিল সুইৎজারল্যান্ডের উপরে।