আসামের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে একপ্রকার বাগে আনার মরিয়া চেষ্টা করছে আসামের বিজেপি সরকার৷ বিজেপির প্রভাবশালী নেতা তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাফ ইঙ্গিত, “আসামে ভিনরাজ্যের কেউ আর জমিজমা কিনতে পারবে না৷ এই আইন হলে রাজ্যের ভূমিপুত্র বা খিলঞ্জিয়া ছাড়া আর কেউ আসামে কোনও সম্পত্তি করতে পারবে না৷
কিন্তু কারা ভূমিপুত্র এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন। অহমিয়ারা কামরুপ(আসাম) আসার আগে এখানে বাঙালিরা (গোয়ালপাড়া ও বরাক উপত্যকা) ছিল বলে দাবি করেছে বাঙালি সংগঠনগুলি৷ কিন্তু স্বাভাবিকভাবে এই দাবি মানতে নারাজ অহমিয়া সহ জনজাতি গোষ্ঠী৷ এই নিয়ে সমস্যা বহুদিনের৷ আশির দশকে অসম ভাষিক দাঙ্গা দেখেছে৷ বহু বাঙালিকে অসম ছেড়ে পালাতে হয়েছে৷ এবার খিলঞ্জিয়ায় বাঙালিদের অন্তর্ভক্ত করা হবে না বলে খবর৷
তাহেল আসামের বাঙালিদের ভবিষ্যৎ কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর আপাতত কারও কাছে নেই৷ সিএএ-র প্রতিবাদে প্রথম রুখে দাঁড়িয়েছিল আসাম। সেখানকার বাসিন্দারা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। এবার সেই বিক্ষোভ শান্ত করতে অসমিয়াদের জন্য নতুন আইন আনতে চলেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার।
মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্ম বলেছেন অসমিয়াদের অস্তিত্ব রক্ষায় এবার নতুন আইন আনতে চলেছে অসম সরকার। কেবল মাত্র অসমিয়ারাই সেরাজ্যে জমি কেনার অধিকারি হবেন এমনই আইন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এমনকি অহমিয়াদের খুশি করতে আসামের রাজ্য ভাষা অহমিয়া করবে বিজেপি। উল্লেখ্য ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত অসমে শিক্ষার মাধ্যম ছিল বাংলা৷ এবার নয়া আইনে সরকারি ও বেসরকারি রাজ্যের শিক্ষা মাধ্যমে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অহমিয়া বাধ্যতামূলক করা হবে৷