তুমুল টালবাহানার পর অবশেষে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছে শিবসেনা সরকার। ক্ষমতায় আসার আগেই ন্যূনতম অভিন্ন কর্মসূচি ঠিক করে নিয়েছিল তিন দল। যাতে প্রাধান্য পেয়েছিল কৃষকদের সমস্যা। ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যেই কৃষকদরদী হওয়ার পরিচয় দিতেও মরিয়া মহারাষ্ট্রের এই মহাজোট ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’। আর কথামতই শুরু করলেন কাজ। শনিবার মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মাথাপিছু কৃষকদের দু লক্ষ টাকা করে ঋণ মকুব করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯-এর আগে যাদের কাঁধে এই ঋণের বোঝা চেপেছিল, তা সরকার মকুব করে দেবে। মহারাষ্ট্রে শীতকালীন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে যে সকল কৃষকদের ঋণ নেওয়া রয়েছে, তাঁদের সেই ঋণের অঙ্ক থেকে দু লক্ষ টাকা করে মকুব করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে ঋণমকুব প্রকল্প। এছাড়াও নতুন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করেছেন, যেসব কৃষক সময়ের মধ্যে ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারবেন, তাঁদের আলাদা করে বিশেষ সুবিধায় ঋণ পাইয়ে দেবে সরকার। বাকি দুই জোট সঙ্গী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলে জানান উদ্ধব।
অন্যদিকে এনসিপির অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত পাটিল বলেন, একেবারে নিঃশর্তে এই ঋণ মকুব করা হবে। কীভাবে এই ঋণ মকুব করা হবে তা মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে শীঘ্রই জানিয়েও দেওয়া হবে সকলকে। যদিও বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশ বলে ওঠেন, সরকার সম্পূর্ণ ঋণ মকুব করার কথা ঘোষণা করলেও তা পুরো করেনি। একই সঙ্গে কৃষকদের করা অন্যান্য প্রতিশ্রুতির কথাও মনে করিয়ে দেবেন্দ্র একাধিক অভিযোগ তোলেন। উত্তরে উদ্ধবকে বলতে শোনা যায়, এখনও একমাস হয়নি। একটু অপেক্ষা করুন, ধীরে ধীরে সব হয়ে যাবে। তবে সরকার গঠনের ১ মাসের মধ্যেই এমন কঠিন সিদ্ধান্তে সরকার উপনীত হওয়ায় মুখ পুড়েছে সেই রাজ্যের বিরোধী বিজেপির।