মাথায় ফেজ টুপি, পরনে লুঙ্গি, অন্য ধর্মকে বদনাম করতে একেবারে সেজেগুজে ট্রেন ভাঙচুর করতে মাঠে নেমেছিল এক বিজেপি কর্মী ও তার ৫ সঙ্গী। যদিও সে চাল বানচাল করতে বেশি সময় নেয়নি প্রশাসন। হাতেনাতে ধরে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের। বলার অপেক্ষা রাখে না নরেন্দ্র মোদীর ‘পোশাক দিয়ে যায় চেনা’ বক্তব্যের পর এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিজেপির। এবার সেই ইস্যুতেই সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আমার কাছে একটি খবর এসেছিল অন্য কমিউনিটির কয়েকজন বাচ্চা বাচ্চা ছেলেকে টুপি লুঙ্গি পরিয়ে ট্রেনে পাথর ছোঁড়াচ্ছে বিজেপি। খবর পেয়ে আমি ওখানকার প্রশাসনের থেকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করি। এবং ওরা জানায় বিষয়টি ঠিক। ৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ট্রেনে ভাঙচুর করার জন্য। এভাবেই ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ্ব বাধাচ্ছে ওরা।’ পাশাপাশি খোদ নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘লুঙ্গি হিন্দুরাও পরে মুসলিমরাও পরে। কীভাবে বুঝবেন কে হিন্দু কে মুসলিম।’ শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, ‘প্রচুর ফেক ভিডিও বানাচ্ছে ওরা মানুষের মধ্যে হিংসা ছড়াতে।’
পাশাপাশি এনআরসি ও সিএএ আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ যে থামবে না তা স্পষ্ট করে দিয়ে, রাজ্যের ডিসেম্বর মাসের প্রতিবাদ কর্মসূচি তৈরি করে দেন মমতা। জানিয়ে দেন, আগামী ২৩ তারিখ রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় আন্দোলন হবে এনআরসি ও সিএএ আইনের প্রতিবাদে। ২৪ তারিখ একই আন্দোলন হবে কলকাতায়। ২৫ তারিখ বড়দিন, সেহেতু ওই দিনটা আমরা ফাঁকা রেখেছি। ২৬ তারিখ তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস দমদম কামারহাটির মতো জায়গাগুলিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে। ২৭ ও ২৮ তারিখ রাজ্যের কৃষাণ ও ক্ষেতমজুররা সিঙ্গুর থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত মিছিল করবেন। ২৯ তারিখ রাজ্যের সমস্ত বিধানসভাকেন্দ্রে হবে ধর্না। ৩০ ও ৩১ তারিখ একইভাবে প্রতিবাদ চলবে রাজ্যজুড়ে। এবং ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওই দিনটি আমরা নাগরিক অধিকার দিবস হিসাবে পালন করব।