গত ৫ আগস্ট সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বিল পাশ করিয়ে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন তিনি। অবশেষে ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে জম্মু-কাশ্মীর।
তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ৪ মাস কেটে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ ভাবে অচলাবস্থা কাটেনি উপত্যকায়। চালু হয়নি ইন্টারনেট পরিষেবাও। আর এর ফলে সময়মতো আয়কর রিটার্ন জমা দিতে না পারায় মুশকিলে পড়তে চলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তত ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী। তাঁদের মোটা টাকা জরিমানা গুণতে হতে পারে।
সরকারি হিসেব বলছে, নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণার পর জম্মু ও কাশ্মীরের অন্তত ৫০ হাজার সরকারি কর্মী সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন(আইটিআর) জমা দেননি। গত ৫ আগস্ট থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকার কারণে সময়ের মধ্যে আইটিআর জমা দিতে পারেননি বলে কর্মীরা অভিযোগ করতে পেরেছেন। তবে বছরে ৬ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পাওয়া ১ লক্ষ ১০ হাজার কর্মী অনলাইনের মাধ্যমে তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, আমাদের বেতন থেকে আয়কর কেটে নেওয়ার কথা। কিন্তু ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আমরা সময়ের মধ্যে আইটিআর দিতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের আরেক অধ্যাপক অভিযোগ করেন, আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য আমি জম্মু পর্যন্ত গিয়েছি। কিন্তু সেখানেও একই অবস্থা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়েছে আমাকে।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তার ভিত্তিতে আয়কর দফতর জানিয়েছে, কাশ্মীরের অন্তত ২০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী সময়ের মধ্যে আরটিআর জমা দেননি। প্রত্যেক সরকারি কর্মীর অনলাইনে আরটিআর জমা দেওয়ার কথা। একমাস দেরি করে জমা দিলে তাঁদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।