ক্যাব নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম-বেশি বিক্ষোভ চলছে। খোদ দিল্লীতেও সেই আঁচ পড়েছে। রাস্তা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনগুলোতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। রবিবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। এই আক্রমণে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে মার খেয়েছেন তিনি। সেই তরুণীকে কুর্নিশ নেটিজেনদের।
এই তরুণীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। সেই ভিডিওতে শোনা যায়, “আমরা তো ভেবেছিলাম পড়ুয়াদের জন্যে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা দিল্লি! আমি তো ভেবেছিলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়েই আমি সবচেয়ে নিরাপদ, আমাদের কিছুই হবে না। কিন্তু কী হচ্ছে এইসব! আমরা সারা রাত ধরে কেঁদেছিলাম কাল…”—বলতে বলতে আবারও কেঁদে ফেলেন তরুণী। কেন করেছেন এমন? কোন তাগিদ থেকে নেমেছেন পথে? তরুণীর উত্তর, “আমি কিন্তু মুসলিম নই। তবুও আমি প্রথম দিন থেকে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সামনে রয়েছি। আমার পরিবারের কিছু হয়েছে কিনা তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, কিন্তু আমি মনে করি, আমরা ন্যায়ের পথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারলে আমাদের পড়াশোনা অর্থহীন!”
তরুণীর এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোমবার সকালে। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ কুর্নিশ জানিয়েছেনন এই লড়াকু মানসিকতাকে, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সদিচ্ছাকে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে জামিয়া মিলিয়ায় পড়তে এসেছেন ওই তরুণী। জন্মগত ভাবে হিন্দু পরিবারের সন্তান হলেও, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে বিভাজনে বিশ্বাস করেন না তিনি। তাই ছাত্রদের বিরুদ্ধে নেমে আসা এই আক্রমণের প্রতিবাদে মাথা তুলে দাঁড়াতে দু’বার ভাবেননি।