সংসদে ক্যাব পাশ হওয়ার পর থেকেই আসাম থেকে ত্রিপুরা, বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে বাংলা জুড়ে। বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে রেল এবং সড়ক অবরোধ। চলছে ভাঙচুর। তবে এই আইনের প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে তারকারা বলেছেন শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে। রাজ্যবাসীকে বারবার শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দাবি জানিয়ে এসেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথে হেঁটেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনের বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ- অভিনেতা দেব।
সোশ্যাল মিডিয়াতে দেব লিখেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন, ” প্রতিবাদ করুন, আন্দোলন হোক কিন্তু আইন হাতে নেওয়া বা সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগানো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পদ্ধতি নয়। এগুলো করবেন না! বিনম্র অনুরোধ।” গত শুক্রবার থেকেই উলুবেড়িয়া, সাকরাইল, শলপ মোড়, কোনা হাইওয়ে, গুমা, পার্কসার্কাস, সুতি, কৃষ্ণগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকাতে আন্দোলনের নামে কোথাও রেলস্টেশনে ভাঙচুর আবার কোথাও টিকিট কাউন্টারে আগুন দিয়ে গুন্ডামি চালানো হয়েছে। এমনকি বাস-ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আগুন ধরিয়েও দিয়েছে আন্দোলনাকারীরা। এই ঘটনায় নাগরিক সমাজের অনেকেই নিন্দা করেছেন, বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
ভোগান্তি চলছে আজ সপ্তাহের প্রথম দিনেও। আজ সকালেও অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়ক। অবরোধ চলে ট্রেন লাইনেও। ওভারহেডের তারে ফেলে দেওয়া হয় কলাপাতা, যার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্রেন চলাচল। সপ্তাহের প্রথম দিনেই এই ঘটনার জেরে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার নিত্যযাত্রীরা।
অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে সোমবার রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ এবং এনআরসি-র কোওটাই যে রাজ্যে কার্যকর করতে দেওয়া হবে না, মিছিল শুরুর আগে তা আরও একবার ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। তবে রাজনৈতিক প্রতিবাদ দেখালেও তা শান্তিপূর্ণ ভাবেই করতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।