সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে গোটা দেশ। কিন্তু দিল্লী, লখনউয়ের পর এবার বিক্ষোভ দেখা গেল বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়েও। সোমবার টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর ক্লাস ছিল ফাঁকা। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২০০-র বেশি ছাত্র জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সমর্থনে মিছিলে যোগ দেন। মিছিলকারীদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক নই’, ‘ছাত্রদের ঐক্য মোদী-শাহের ঐক্যের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’।
টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস-এর ছাত্ররা বলেন, তাঁদের দু’টি দাবি আছে। প্রথমত নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিল করতে হবে। দ্বিতীয়ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করার প্রক্রিয়াও বন্ধ করতে হবে। কারণ তা সংবিধানের মূল নীতির বিরোধী। শুধু এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, অন্যান্য শিক্ষায়তনের ছাত্রছাত্রীরাও বিক্ষোভ দেখাতে পথে নামে। দেশের বাণিজ্য নগরীতে দেখা যায় বিরাট ছাত্রমিছিল।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে কপিল নামে এক ছাত্র জানান, “আমরা নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে মিছিল করছি। জামিয়া, আলিগড় এবং উত্তর-পুর্বের বহু ছাত্র এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি দমনপীড়নের শিকার হয়েছেন। পুলিশ বেছে বেছে মুসলিম ছাত্রদের আক্রমণ করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিশের লজ্জা পাওয়া উচিত। এভাবে আমাদের চুপ করানো যাবে না।”
লখনউয়ের নাদওয়া কলেজের ছাত্ররাও রবিবার রাত থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। রাতে পুলিশ কোনওরকমে বিক্ষোভ সামাল দেয়। সোমবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় অশান্তি। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও অশান্তি তুঙ্গে পৌঁছায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমায়েত হওয়া কয়েকশো প্রতিবাদী ছাত্রের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও।