ক্যাব নিয়ে দেশের প্রায় সব রাজ্যেই কম-বেশি বিক্ষোভ চলছে। খোদ দিল্লীতেও সেই আঁচ পড়েছে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেও এই একই চিত্র। রাস্তা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গনগুলোতেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। যোগী রাজ্যের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়েও সেই আঁচ ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান ও পি সিং-এর সাফ জানিয়েছেন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খালি করে দেওয়া হবে সোমবার ৷ সেই সঙ্গে সব ছাত্রছাত্রীকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হবে৷
উল্লেখ্য রবিবার মধ্যরাতের ঠিক এক ঘণ্টা আগে এবং বিক্ষোভ থামানোর জন্য শহর জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই আলিগড় ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিশের অ্যান্টি রায়ট যানবাহন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চরমে ওঠে। দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের উদ্দেশে মিছিলে পা মেলায় আলিগড়ের পড়ুয়ারাও। একইরকমভাবে এই পড়ুয়াদেরকেও বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় সংঘর্ষ। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সুপার ওপি সিং স্পষ্ট জানান,‘ আমরা জেএমইউ খালি করিয়ে দিচ্ছি, সমস্ত শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।’
দিল্লীর মতো উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্র- ছাতীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে৷ এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান৷ তাঁর সোজা কথা, ‘পুলিশ ভাঙচুর করেছে এমন কোনও খবর আমরা পাইনি।’ রবিবারের পড়ুয়া- পুলিশ সংঘর্ষে দশ জন পুলিশকর্মী এবং প্রায় ৩০ জন পড়ুয়া আহত হয়েছেন ৷ পুলিশ ছাত্রদের হস্টেল খালি করার দাবি করেছে। শহরে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
ওপি সিং জানিয়েছেন, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের জেরে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এদেরকে দিল্লির মতো ছেড়ে দেওয়া হবে না বলেও সাফ জানান তিনি৷ তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘যারা হিংসায় লিপ্ত হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে আমরা চিহ্নিত করব এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’