ক্যাব পাশ হওয়ার পর গতকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়েই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দিল্লীর জামিয়া মিলিয়া, কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার বিক্ষোভ শুরু হল উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্মৌয়ের নাদওয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও। জানা গেছে, পড়ুয়া-বিক্ষোভকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আটকে রেখে সেখানকার মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয় যোগীরাজ্যের পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ফটক বন্ধ করার পর সেই দরজায় প্রবল ধাক্কাধাক্কি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্যে করে ছোঁড়া হয় পাথর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে কয়েকজন পুলিশকর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ দ্বারের সামনের অঞ্চল ঘিরে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এই যুক্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই আটকে রাখে পুলিশ।
গতকাল নাগরিকত্ব আইন পাশের প্রতিবাদে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে পুলিশের পাল্টা দাবি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে তাঁদের লক্ষ্যে করে পাথর ছোঁড়া হয়, কারা তা ছুঁড়ছে তা জানতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে। তবে প্রধান বিচারপতি একথাও বলেন যে ‘এখনই হিংসা বন্ধ হোক। আমরা অধিকার রক্ষার পক্ষে, কিন্তু তা কখনোই হিংসার পরিবেশ তৈরি করে নয়। বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। পড়ুয়ারা আন্দোলন করছে বলে আইন হাতে তুলে নেবেন এ হতে পারে না। হিংসা বন্ধ হলে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করবে আদালত। সবকিছু মিটলে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’