সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের ফলে সিকিমের মানুষদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই এই আইন সিকিমবাসীদের স্বার্থ বিরোধী বলে তোপ দাগলেন প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া। এছাড়া এই আইনের ফলে সংবিধানের ৩৭১ (এফ) ধারা অনুযায়ী প্রাপ্ত সিকিমের বিশেষ মর্যাদাও ক্ষুণ্ণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
খেলার ছাড়ার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বাইচুং। প্রথমে তৃণমূলে নাম লেখালেও বর্তমানে হামরো সিকিম পার্টির প্রেসিডেন্ট তিনি। সিএএ-র বিরোধিতার পাশাপাশি সিকিমের শাসক দল সিকিম ক্রান্তি মোর্চা (এসকেএম) ও প্রধান বিরোধী দল সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) এই নিয়ে কী অবস্থান, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই দুই দলই আবার বিজেপির শরিক দল।
শনিবার সকালে বাইচুং ভুটিয়া বলেন, ‘আমার মতে সিএএর ফলে সিকিমের স্থানীয় মানুষদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই নিয়ে এসডিএফ ও এসকেএম দুই দলই বিজেপিকে আপত্তি জানালেও কেন্দ্র তাতে আমল দেয়নি। এখন দেখার সিকিমের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার পরেও ওই দুই দলের অবস্থান কী হয়। কারণ ওই দুই দলই বিজেপির শরিক দল।’
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের বিরোধিতা করেছেন এসকেএম সুপ্রিমো প্রেম সিং তামাং। তিনি এই নিয়ে অমিত শাহকে একটি চিঠিও লেখেন। সিকিমের দুই সাংসদ ইন্দ্র হাং সুব্বা (লোকসভা) ও হিসে লাচুংপা (রাজ্যসভা) সিএবির বিরোধিতা করেছিলেন। যদিও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সিএএর বিরোধিতা করেছেন সিকিম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ভরত বাস্নেটও।