শনিবার দিল্লীর রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের ‘ভারত বাঁচাও’ সমাবেশের মঞ্চ কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। রুখে দাঁড়ান। এঁদের আটকাতে না পারলে বাবাসাহেবের সংবিধান ধ্বংস করবে এঁরা।’ এই ময়দানে বিজেপির স্লোগানকেই হাতিয়ার করলেন কংগ্রেসে নেত্রী। বিজেপির বিখ্যাত স্লোগান ‘বিজেপি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ শোনা গেল প্রিয়াঙ্কার গলায়। হঠাত্ করে তাঁর গলায় বিজেপির স্লোগান শুনে খানিক থমকে গিয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। তবে সবার সব ধন্দ দূর করে তিনি বলেন, ‘বিজেপি আছে বলেই না পেঁয়াজের দাম ১০০টাকা প্রতি কিলো ছাড়িয়েছে, বিজেপি আছে বলেই তো গত ৪৫ বছরে বেকারত্ব এত বেশি, বিজেপির জন্যেই তো ৪ কোটি কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আমাদের যেভাবেই হোক দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে।’
সম্প্রতি সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারপর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি সেই বিলে স্বাক্ষর করায় বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন নাগরিক আইন যে সংবিধান বিরোধী, সেকথা আগেই লোকসভা এবং রাজ্যসভায় জানিয়েছে কংগ্রেস। এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়েও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মানুষের ক্ষোভকে হাতিয়ার করতেই দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছেন সোনিয়া–রাহুল–প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা। নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয় নিয়েই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জিডিপি ৯ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে। নোটবন্দি দেশের অর্থনৈতিক ভিতকেই নষ্ট করে দিয়েছে। এই সমস্ত কিছুর জন্যেই দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।’
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং–ও উপস্থিত আছেন। জনসমাবেশের শক্তি বাড়ানোর দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে কংগ্রেসের কর্মীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর রামলীলা ময়দানে কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।