ক্যাব এনে মোদী সরকার বেশ অস্বস্তিতে। দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদের আগুন। বিশেষ করে এই আগুনে পুড়ছে উত্তর-পূর্ব ভারত। এই আইনের দ্বারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আগত শরণার্থীদের দেশ ছাড়ার ফরমান জারি করবে মোদী সরকার। দেশের নাগরিক হয়েও নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে সবাইকে। ফলে চাপে শরণার্থীরা। আর এই উদ্বাস্তুদের কী কষ্ট তা বোঝার ক্ষমতা মমতার সরকারের আছে বলে জানান মন্ত্রী গৌতম দেব। তৃণমূল সরকার উদ্বাস্তুদের পাশে আছে বলে আশ্বাস গৌতম দেবের।
মালদহে এনআরসি ও সিএববি বিরোধী সভায় যোগ দিয়ে গৌতম দেব আরও বলেন, ‘শিলিগুড়িতে আমার জন্ম৷ কিন্তু আমরা পূর্ব-পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু পরিবারের ছেলে। উদ্বাস্তুদের কষ্ট আমি বুঝি। বাংলা বাংলার পথেই চলবে। অসম সরকার এই আইন তৈরি করার পক্ষে ৷ কিন্তু বাংলার সরকার তার বিপক্ষে। সবাই এনআরসির ভয়াবহাতা বোঝাতে হবে৷’ দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে এনআরসি এবং সিএবি আঘাত করছে বলেও অভিযোগ গৌতম দেবের৷ তিনি আরও বলেন ‘অসমের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত। ট্রেনগুলিকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না’
বৃহস্পতিবার মালদহে এনআরসি ও সিএবি বিরোধী জনসভায় গৌতম দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর, তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র,মোথাবাড়ি বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সভায় বক্তৃতায় সবাই এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সরব হন৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতারা৷