বিগত কয়েকদিন ধরেই রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছিল বাসিন্দাদের। যার ফলে সমস্যায় পড়েছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। এবার সেই অসহায়দের পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল। পুনর্বাসন না দিয়ে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হলে কাউকে ছেড়ে দেবে না তৃণমূল। আজ এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বস্তিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া স্টেশনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল তৃণমূল। আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ- এই দাবি নিয়ে বাঁকুড়া শহরে মিছিল করে এদিন বাঁকুড়া স্টেশনে যায় তৃণমূল। সেখানে স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে নিজেদের স্মারকলিপি পাঠান তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাঁকুড়া শহরের প্রায় সাতটি ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে চলে গেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথের খড়গপুর-আদ্রা লাইন। এই লাইনের দু’দিকে রেলের ফাঁকা জমিতে দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে আসছেন অসংখ্য মানুষ। কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে বস্তিও। সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিশ পাঠায়। অভিযোগ এই নোটিশ পাঠানোর পর থেকেই রেল পুলিশ মাঝে মধ্যেই রাতের অন্ধকারে বস্তিতে গিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের ভয় দেখাচ্ছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করে তৃণমূল।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ বস্তির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার রবীন্দ্র সরণি এলাকা থেকে বাঁকুড়া স্টেশন পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। আগে পুনর্বাসন, পরে উচ্ছেদ এই দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় স্টেশন ম্যানেজারের হাতে। এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব রেলকে হুঁশিয়ারি দেয় যে, এরপরও পুনর্বাসন না দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করতে এলে অবস্থান, বিক্ষোভ, অবরোধ সহ আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন এই ঘটনার পর রেল কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেটাই দেখার।