আগস্টের পাঁচ তারিখ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা। তখনই জল্পনা শুরু হয়েছিল এবার কি তাহলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নেবে বর্তমান সরকার? এরপর গত ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার রায় সামনে আসতেই ফের উঠে আসে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রসঙ্গ। বিষয়টিতে ইন্ধন দেয় দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের একটি মন্তব্যও। এই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ‘সময় এসে গিয়েছে’ বলে জানান তিনি। আর এরপর থেকেই জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে শাসক ও বিরোধী শিবিরে। বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীই মনে করছেন, এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার উপরই সবচেয়ে বেশি জোর দেবে।
তাঁদের দাবি, বহুদিন ধরেই বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এমনিতে তিন তালাক থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পথে থাকা সমস্ত বাধাই সরে গিয়েছে মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে। তাই এবার যে তারা দেশকে এক আইনের ঘেরাটোপে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করবে তাই মনে করছে সবাই। কারণ, ইতিমধ্যেই এবিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে শুনানি শুরু হয়েছে দিল্লি হাই কোর্টে।
তার আগে সেপ্টেম্বর মাসে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন ধরে দেশে কেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা গেল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার নড়েচড়ে বসে বলে খবর। তবে নাগরকিত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর পরেই এবিষয়ে তারা অগ্রসর হবে বলে জানা গিয়েছিল। লোকসভার পর বুধবার রাজ্যসভাতেও পাশ হয়েছে বহু বিতর্কিত এই বিল। এর জেরে আসামে প্রচণ্ড বিক্ষোভও শুরু হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির আগামী লক্ষ্য দেশজুড়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।