ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ঘাটতি থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে সব মিটিয়ে দিয়েছে কোহলি বাহিনী। এবার সেই রেশ কাটিয়ে সামনে তাকাতে চান বিরাট। আগামী ১৫ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পরে এখন তাঁদের নজর ওয়ান ডে-তে।
কোহালিরা ওয়ান ডে দ্বৈরথের জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছেন, তখনও তাঁদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিয়ে চলছে আলোচনা। বিশেষ করে যে ভাবে বুধবার রাতে ওয়াংখেড়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত, তাতে মুগ্ধ ক্রিকেট-বিশ্ব। এই তালিকায় রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন মনোভাব দারুণ ভাল লেগেছে ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভের।
ম্যাচের পরে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ টুইট করেন, ‘‘ভারত সিরিজ হারবে, এমনটা প্রায় কেউই ভাবেননি। জয়টা তাই বিস্ময়ের কিছু নয়। কিন্তু এই ম্যাচে যেটা আলাদা হয়ে থাকবে, সেটা হল, ভারতের ভয়ডরহীন ব্যাটিং। যে ব্যাটিংটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন দেখা যাবে। ভয় না পেয়ে ব্যাট করো। কেউ নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেনি। সবাই জেতার জন্য খেলেছে…অভিনন্দন ভারত।’’
সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি শুরুর আগে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর বলেছিলেন, প্রথমে ব্যাট করা দলের পক্ষে ম্যাচ জেতা কঠিন। ভারতও এই সমস্যায় পড়ছে। কিন্তু ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করেই দুরন্ত জয় পেয়েছে ভারত। রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, কোহালির তাণ্ডবে ভারত তোলে তিন উইকেটে ২৪০। এই বিশাল স্কোর বেশি খুশি করেছে অধিনায়ক কোহালিকে।
তবে ৯১ রান করার জন্য ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হন কে এল রাহুল। পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় ওপেনারকে প্রশ্ন করা হয়, প্রথমে ব্যাট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভারত কেন বড় রান তুলতে পারছে না? যার জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘এই প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই। আমি এটুকু বলতে পারি, প্রথমে ব্যাট করলে কী করা উচিত, তা নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা করছি।’’
রাহুল মনে করেন, প্রথমে ব্যাট করে আগে থেকেই খুব বড় রানের একটা লক্ষ্য ঠিক করে ফেললে পরে সমস্যা হয়। রাহুলের মন্তব্য, ‘‘অতীতে আমরা খুব বড় লক্ষ্য সামনে নিয়ে খেলতে নেমে ১০-১৫ রান পিছনে থেকে যেতাম। এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখলাম। আশা করব, ভবিষ্যতেও এই ভাবে খেলে যেতে পারব।’’ তবে রাহুল এও বলে দিয়েছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টিতে এখন কোনও স্কোরই নিরাপদ নয়। তাই গড়পরতা স্কোরের চেয়ে ২০-২৫ রান বেশি তোলার চেষ্টা করি।’’