গতকাল লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর আজ রাজ্যসভায় ছিল অগ্নিপরীক্ষা। অবশেষে রাজ্যসভায় ১২৫টি ভোট এই বিলের পক্ষে পড়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ হয়ে যায় এই বিল। বিপক্ষে ভোট ১০৫টি। এ বার রাষ্ট্রপতি সই করলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে। মূল এই ভোটাভুটির আগে বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। মোট ১৪টি সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা।
বিরোধী কংগ্রেসের পক্ষে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘এই বিল ‘ভারতের আত্মার উপরে আঘাত।’’ বিল নিয়ে বিজেপি কেন তাড়াহুড়ো করছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশ ভাগের জন্য কংগ্রেস দায়ী বলে অমিত শাহ লোকসভায় যে অভিযোগ করেছিলেন তারও জবাব দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। দেশ ভাগ নিয়ে সরাসরি হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগকে দায়ী করেছেন তিনি। অমিত শাহের কথার সূত্র ধরেই বিজেপিকে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। নোটবন্দির কথা তুলে তৃণমূলের প্রধান জাতীয় জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, ‘‘আপনারা আশ্বাস দিলেও, সিএবি নিয়ে আশঙ্কার কারণ আছে। কারণ, নোটবন্দির সময়েও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ফল কী হয়েছে তা সবাই জানেন।’’
বুধবার সকালেই তাঁর টুইটে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গাঁধী। লিখেছেন, ‘‘এই বিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে জাতিগত ভাবে বিশুদ্ধ করার চেষ্টা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপর অপরাধমূলক আক্রমণ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের পাশেই রয়েছি।’’
এ দিন সংসদের উচ্চকক্ষে ৪ সাংসদ অনুপস্থিত। ফলে, ম্যাজিক ফিগার কিছুটা নেমে ১১৯ হয়েছে। রাজ্যসভার মোট আসন ২৪৫। বর্তমানে সাংসদ রয়েছেন ২৪০ জন। রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে বিজেপির সাংসদ-সংখ্যা ৮১। আর সব মিলিয়ে এই বিলের পক্ষে সাংসদ আছেন ১২৮ জন। এর মধ্যেই বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে শিবসেনাও। সবকিছুর মধ্যে দিয়েই এদিন রাজ্যসভার সিলমোহর পড়ে যায়।