এবার এনআরসি–র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা–কর্মী–সমর্থকেরা। জামালপুরের পাঁচটি গ্রামের ৫০০-র বেশি বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিলেন। জামালপুরের তৃণমূল নেতা মেহমুদ খান তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। পাশাপাশি সিপিএম থেকেও বহু কর্মী-সমর্থক একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন।
জামালপুরের তৃণমূল নেতা মেহমুদ খান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত এনআরসি–র প্রতিবাদ জানাতে বিজেপি এবং সিপিএম থেকে শতাধিক কর্মী–সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জামালপুর ব্লকের পাড়াতল ১ ও ২, প্যাঁচরা, জামালপুর–২ ও আঝাপুর এই ৫ টি গ্রামের প্রায় ৫০০–র বেশি মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন সেই উন্নয়নের ছোঁয়া এই গরিব মানুষদের ঘরে পৌঁছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। রূপশ্রী–কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে স্কুলের সাইকেল, ড্রেস সব তাঁরা পেয়েছেন। তাঁরা মনে করছেন বিজেপি করা তাঁদের পক্ষে সাজে না। তাই তাঁরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আমরা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছি। আমরা তাঁদের জানিয়েছি, আপনারা দলের কাজ করুন। আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের পাশে থাকব। যারা এদিন তৃণমূলে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে যেমন বিজেপির বুথ সভাপতি আছেন, তেমনি আছেন সক্রিয় কর্মীও।’
পারাতলা–১ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি জয়ন্ত মালিক এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেন, ‘এনআরসি যেভাবে চালু করা হবে বলে বিজেপি সরকার প্রচার করছে তাতে আমরা আগামিদিনে ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়ব। কারণ আমরা দিন আনি দিন খাই। আমাদের জমি জায়গার কাগজপত্র এখনও ঠিক করা হয়নি। এই কাগজপত্র ঠিক করতে গেলে প্রচুর টাকার দরকার। সেই টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিজেপির এনআরসি নিয়ে প্রচারে রীতিমতো আমরা বিজেপি কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। যদি কাগজপত্র ঠিক না করতে পারি তাহলে তো আমরা দেশছাড়া হব। সেই ভেবে পরিবারের বয়স্কদের চোখে ঘুম নেই। তাই এখন বুঝতে পেরেছি বিজেপি করা আমাদের ঠিক নয়।’