সারা ম্যাচে নিজেদের দাপট রেখে খেলল আলেহান্দ্রোর ছেলেরা। আর সেই দাপটের ফলস্বরূপ নেরোকার থেকে ৪-১ গোলে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। মাঠে কোলাডোদের ছন্দের কাছে হার মানল পাহাড়ের এই দল। মণিপুরের ইম্ফলের মাঠে নেরোকার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন কোলাডো, জুয়ান মেরা, মার্কোসরা। গোটা ম্যাচে আধিপত্য নিয়ে খেলল লাল-হলুদ ব্রিগেড। আগের দুই ম্যাচে ভালো খেলেও জয় অধরাই ছিল। এদিনের ম্যাচে সেই খরা কাটিয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল। পাশাপাশি আইলিগের এই মরশুমে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ময়দানের এই অন্যতম দল।
এদিন শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন আলেহান্দ্রোর ছেলেরা। দু’প্রান্ত ধরে বারবার বল নিয়ে এগিয়ে আসছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যেই সুযোগ তৈরি করে তারা। এই চাপের ফল মেলে। ২০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে জুয়ান মেরাকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। গোল করে দলকে এগিয়ে দেন স্যান্টোস কোলাডো।
তারপরেই অবশ্য খেলায় ফেরে নেরোকা। ৩১ মিনিটের মাথায় নিজের উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে হেডে গোল করে সমতা ফেরান নেরোকার বিদেশি স্ট্রাইকার দিয়ারা। যদিও দু’মিনিট পরেই ফের ব্যবধান বাড়ায় অ্যাওয়ে দল। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত ফ্রিকিকে গোল করেন জুয়ান মেরা। আগের ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে এমনই এক বাঁ পায়ের গোলে রক্ষা পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানেই ড্রেসিং রুমে যায় ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির পরেও একই ছবি। ৫২ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে নেরোকার ডিফেন্ডার হ্যান্ডবল করলে ফের পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ঠান্ডা মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের তিন নম্বর গোল করেন কোলাডো। তিন গোল করার পরেও ব্যবধান আরও বাড়াতে ঝাঁপান ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। দেখে বোঝা যাচ্ছিল আগের দুই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার যন্ত্রণা তাড়া করছে তাঁদের। ৬৪ মিনিটের মাথায় পিন্টু মাহাতার ক্রস থেকে দলের চার নম্বর গোল করেন মার্কোস।
ম্যাচে আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি নেরোকার। কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও গোল পায়নি তারা। উল্টে ইস্টবেঙ্গলের কাছেও সুযোগ ছিল ব্যবধান আরও বাড়ানোর। কিন্তু তা হয়নি। ফলে ৪-১ ব্যবধানেই জেতে তাঁরা। জয়ের ফিরেই এক লাফে লিগ তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এল লাল হলুদ ব্রিগেড।